1. admin@shwapnoprotidin.com : admin : ddn newsbd
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন

একই গ্রাম থেকে বিয়ের জন্য পালিয়েছিল ৬ কিশোর-কিশোরী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১
  • ২৯৫ সময় দর্শন

ঢাকার ধামরাইয়ে করোনার ছোবল থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধ থাকলও সহপাঠীদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হচ্ছে ঠিকই। এই যোগাযোগের মাধ্যমেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ধামরাইয়ের তিন জোড়া কিশোর-কিশোরীর।

বয়স কম বলে পারিবারিকভাবে বিয়ে হবে না ভেবে, গোপনে  বিয়ের জন্য তারা ৬ জনই একসাথে ঘর ছেড়ে চলে যান চট্টগ্রামে। কিন্তু চট্টগ্রামে সন্দেহভাজনভাবে চলাচল করায় ‘বেরসিক’ পুলিশ তাদের আটক করে। বিষয়ট রবিবার নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার পরিদর্শক তদন্ত কামাল হোসেন। এর আগে গত শুক্রবার তারা আটক হয় পুলিশের হাতে।

শনিবার তাদের চট্টগ্রাম থেকে ধামরাইয়ে নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। তাদের মধ্যে ৫ জনের বাড়ি ধামরাইয়ের বড়কুশুরিয়া গ্রামে। অন্যজনের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে। কিন্তু করোনার ছুটিতে সে ধামরাইয়ের ওই গ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। তারা পঞ্চম, ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা গ্রাম থেকে বিয়ের জন্য পালানো ৬ জনের একজন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পারিবারিকভাবে তার বিয়ে ঠিক হয়। তবে একই এলাকার নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সাথে ছিল তার প্রেমের সম্পর্ক। সিদ্ধান্ত নেয় তারা দুজনই পালিয়ে বিয়ে করবে। এই সিদ্ধান্তের কথা বান্ধবী জানলে তারা যোগ দেয় পালিয়ে বিয়ের জন্য।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে তাদের সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখন এক জুটি তাদের স্বামী-স্ত্রী দাবি করলে, সন্দেহের মাত্রা বেড়ে যায় পুলিশের। তবে বাকিরা বন্ধু-বান্ধুবী পরিচয় দিলেও তাদের থানায় নেয় পুলিশ।

পরে জানা যায়, তারা সবাই ধামরাই থেকে পালিয়ে বিয়ে করার জন্য চট্টগ্রামে যায়। তাদের কাছে বিয়ের শাড়ি ও কসমেটিকসও পায় পুলিশ। পরে অভিভাবকদের হাতে তাদের তুলে দেয় পুলিশ।

কিশোর ও কিশোরীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে ৬ হাজার টাকা নিয়ে সবাই একযোগে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় যায়। পরে বিকালের ট্রেন ধরে রাতে পৌঁছে যায় চট্টগ্রামে। তাদের মধ্যে কুমিল্লার লাকসামের কিশোরী এর আগে চট্টগ্রামে গিয়েছিল। তার সিদ্ধান্তেই সবাই চট্টগ্রামে যায়।

উদ্দেশ্য ছিল তার আত্মীয়ের দোকান বন্দরটিলায় যাওয়ার। তবে সেখানে গিয়ে আত্মীয়ের দোকান খুঁজে না পাওয়ায় অটোরিকশা চালকের সহায়তায় ৭০০ টাকা ভাড়ায় এক নারীর বাসায় রাত কাটায় তারা। তবে তাদের প্রায় সব টাকা ফুরিয়ে যায়। অবশিষ্ট কিছু টাকা দিয়ে গ্রামে ফেরার পরিকল্পনা করে তারা। এজন্য ট্রেন স্টেশনে গেলে সেখানেই ধরা পড়ে তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২5© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host