1. admin@shwapnoprotidin.com : admin : ddn newsbd
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন

করোনার নতুন চিকিৎসায় সফলতার দ্বারপ্রান্তে ফ্লোরিডা

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৩২ সময় দর্শন

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওকালায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ওপর নতুন এক ধরনের চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। এ চিকিৎসায় অনেকটাই সাফল্যের কাছাকাছি আছেন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কারণ ইতোমধ্যেই বেশ ভালো ফলাফল পেয়েছেন তারা।

ওকালার অ্যাডভেন্টহেলথের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় তারা যে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করেছেন তা সাফল্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আইসিএএম নামের একটি নতুন চিকিৎসা শুরু করেছেন তারা।

অ্যাডভেন্টহেলথ ওকালার ফার্মেসি বিভাগের পরিচালক ড. কারলেট নরউড উইলিয়ামস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আইসিএএম প্রোটোকলটি দেশে পুনরায় চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের রোগীদের বিষয়ে আরও গবেষণার পর আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পারব।’

তিনি বলেন, আইসিএএম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ থেকে ফুসফুসকে সুরক্ষা দেয়। এই চিকিৎসায় ভেন্টিলেশনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

নরউড উইলিয়ামস বলেন, বয়স এবং পূর্বের বিভিন্ন রোগের ইতিহাস থাকা স্বত্ত্বেও তাদের বেশির ভাগ রোগীরা করোনাকে জয় করতে পেরেছেন এবং হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। অ্যাডভেন্টহেলথ ওকালা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে গত এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৬ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী।

তিনি জানিয়েছেন, এটি আসলে বেশ কিছু ওষুধের সমন্বয় যার মাধ্যমে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এটি করোনভাইরাসটির সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা থেকে শরীরকে রক্ষা করতে কাজ করে।

তিনি বলেন, এই চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে আইসিএম। যেমন-ইমিউন সাপোর্টে ভিটাসিম সি এবং জিংক, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে কর্টিকোস্টেরয়েডস, রক্ত জমাট বাধা থেকে রক্ষা করতে অ্যান্টিকোগুল্যান্টস এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে ম্যাক্রোলাইডস এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।

এই চিকিৎসায় তারা দেখতে পেয়েছেন যে, আইসিএএম শরীরের জন্য শক্তিশালী প্রতিরক্ষা কৌশল হিসেবে কাজ করে। তিনি বলেন, এই চিকিৎসা করোনাভাইরাসকে মারতে সক্ষম নয়। কিন্তু এর আসলে প্রয়োজনও নেই। কারণ এমনিতেই এই চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছে। তাছাড়া ভাইরাসগুলোর নিজেদের মধ্যেও বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

এ ধরনের ভাইরাসের জীবনচক্র খুবই সংক্ষিপ্ত। একাধিক উপায়ে করোনাভাইরাসের যে পরিণতি ঘটে রোগীরা আসলে সেসব কারণেই মারা যায়। কিন্তু সঠিক ওষুধ এবং চিকিৎসার মাধ্যমে বাঁচানো সম্ভব রোগীদের।

মূলত পরীক্ষামূলকভাবেই ওকালার অ্যাডভেন্টহেলথ হাসপাতালে এই চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করেছিলেন চিকিৎসকরা। তারা এই চিকিৎসার মাধ্যমে যে সফলতা পাচ্ছেন তা তারা প্রকাশ করতে চান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের এই চিকিৎসা পদ্ধতি জানাতে চান।

সূত্র: ফক্স ৬

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২5© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host