1. admin@shwapnoprotidin.com : admin : ddn newsbd
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন

অর্ধেক দামে কেনাবেচা হচ্ছে কোরবানির চামড়া

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২১ জুলাই, ২০২১
  • ৩১৯ সময় দর্শন

ক্রেতা না থাকায় রাজধানীজুড়ে সরকার নির্ধারিত দামের অর্ধেক দরে বেচাকেনা হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া। 

এ বছর কোরবানির ঈদের আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়ার দর নির্ধারণ করে জানায়, ট্যানারিগুলো ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু ও মহিষের চামড়া কিনবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

তবে বুধবার রাজধানীর মিরপুরের উত্তর টোলারবাগ,কাজীপাড়া, ৬০ ফুট রোড, মিরপুর-১, কাজীপাড়া ও পরে খিলগাঁও, বাসাবো, আরামবাগ এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বর্গফুট চামড়া বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়।

প্রতিটি বড় গরু থেকে ৪৫ বর্গফুট পর্যন্ত চামড়া পাওয়া যায়, ছোট গরুতে পাওয়া যায় ২০ বর্গফুট। সর্বনিম্ন ৪০ টাকা দর হিসাব করলে বড় গরুর লবণযুক্ত চামড়া ১ হাজার ৮০০ টাকা ও ছোট গরুর চামড়া ৮০০ টাকায় ট্যানারিগুলো কেনার কথা। এই হিসাবে লবণের দাম, অন্যান্য খরচ ও আড়তদার মুনাফা বাদ দিলে বিক্রেতারা প্রতিটি লবণযুক্ত চামড়া ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পাওয়ার কথা।

কিন্তু ছোট-বড় সব গরু মিলিয়ে রাজধানীর চামড়া বিক্রেতারা ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যেই চামড়া বিক্রি করে দিচ্ছেন।

এর কারণ হিসেবে রাজধানীর উত্তর টোলারবাগের বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘সারা দিন বসে ছিলাম। একজন ক্রেতাও আসে নাই। পরে এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নিলাম কোরবানির পশুর চামড়া আমরা স্থানীয় মাদ্রাসাতে দিয়ে দিব। যদি চামড়া নিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসে থাকতাম, তাহলে চামড়া নষ্ট হয়ে যেত। ওই চামড়ার আর কোনো দামই পাওয়া যেত না।’

মিরপুর-১ আহম্মদনগরের দাউদ খান মসজিদ কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা একেকটি গরুর চামড়া ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত দামে কিনেছি। পরে সেগুলো ৫০০ টাকা দামে ছেড়ে দিচ্ছি। কোরবানি হয়ে গেছে সকাল ৮-৯টার দিকে। এরপর প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা চলে যাচ্ছে। এখন যদি লবণ দিয়ে কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ করা না যায়, তাহলে চামড়া খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়ার দাম হবে ৩৩ টাকা থেকে ৩৭ টাকা। এছাড়া সারাদেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কোরবানির ঈদের আগে ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা  বলেছেন, এবার চামড়া বেশি দামে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তারা। এ হিসাবে প্রতিটি গরু ও মহিষের ২০ থেকে ৩০ বর্গফুট চামড়ায় ৫ থেকে ৬ কেজি লবণ দিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা খরচ হওয়ার কথা।

ঢাকার চামড়া বড় বেশিরভাগই ৩০ বর্গফুট হয়। এ চামড়া ট্যানারি কিনবে ১৩৫০ টাকায়। লবণের দাম, শ্রমিকের মজুরি, পরিবহন খরচসহ মোট ১০০ থেকে দেড়শ টাকা খরচ হবে তাদের।  এসব খরচ বাদ দিয়ে ১ হাজার টাকায় চামড়া বিক্রির কথা থাকলেও বাস্তবে মাত্র ৫০০ টাকায় তা বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার বাইরে থেকে বেশিরভাগই ছোট চামড়া আসে। ২০ বর্গফুট চামড়া লবণসহ ট্যানারি কিনবে ৮০০ টাকায়। এর থেকে ৩০০ টাকা মুনাফা ও ব্যয় ধরলেও ছোট চামড়া ৫০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা।

কিন্তু বুধবার রাজধানীতে পশুর চামড়া বিক্রির চিত্র বলে ভিন্ন কথা।

ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিক্রেতারা কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলে চামড়া ছাড়তে নারাজ হলে ওই চামড়া নষ্ট হবে।  যত দ্রুত সম্ভব চামড়া সংরক্ষণ করা না হলে এবার চামড়া খাতে বড় অঙ্কের ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন তারা।

চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান জানান, তারা আড়তে প্রতিটি বড় চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং ছোট চামড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় কিনছেন। দাম কম বলে অনেকে আড়তে চামড়া আনতে দেরি করছেন বলেও জানান তিনি। আর এই কারণে এবার কোরবানির চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন টিপু সুলতান।

এবার ছাগল ও ভেড়ার চামড়ার চাহিদা একদমই নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২5© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host